আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লিটল ফ্রেন্ডস কিন্ডার গার্টেন ও রাশিদা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ইনভেনশান শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে পিঠা উৎসব।

মো: সারোয়ার জাহান

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে মিশে আছে পিঠা উৎসব।বাঙালির ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে কিশোরগঞ্জের পুরান থানা এলাকায় রাশিদা খানম উচ্চ বিদ্যালয় ও লিটল ফ্রেন্ডস কিন্ডার গার্টেনের যৌথ উদ্যোগে ইনভেনশান শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে খুব জমজমাট আয়োজনে শুরু হলো পিঠা উৎসব।উৎসবে অসংখ্য স্টলের দেখা মিলে।শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ হাতে তৈরি করা পিঠা সাজিয়েছে তাদের স্টলে।দেখা মিলেছে-চমচম, ডালের বরপি, দামি, ফুল, নকশি, মসলা, পাতা, তাল, ডিমের বিস্কুট, পাটিসাপ্টা, জামাই, চন্দ্র পুলি, খাজা, তামি, দুধ পুলি, চেঁপা, ঝিনুক, ছিটা, মেরা, মালফি, দুধ চিতই, দুধ ডাল, বিফ, ডিম-ডাল পাকুরা, শামুক, চিতল, চুয়া, নারিকেল, ডুবা পিঠাসহ প্রায় ২০টি স্টলে শতাধিক রকমের পিঠা সাজানো রয়েছে।এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে দেশীয় খাবারের স্টল।এই স্টলে ভাত ও ১৫জাতের ভর্তা আছে। স্টলের লোকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে-ভাত ও ১৫ জাতের ভর্তার জন্য দাম রাখছে মাত্র ১০০টাকা।এর পাশেই দেখা মিলেছে মিথিলা স্টল।এখানে রয়েছে ৪জাতের মিষ্টি জর্দা,নারিকেল গুড়ো, সুপারি, গোলাপ পান চাটনী মিশ্রিত আকর্ষণীয় পান।ভোজন রসিকরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর স্বাদ নিচ্ছেন।

হাজারো দর্শনার্থীর হইচই ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব মিলিয়ে পিঠা উৎসবটি হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত।বাসন্তী শাড়ী,খোঁপায় জুই,হাতে রেশমি চুড়ি সাজসজ্জায় মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।

পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ডা.আ.ন.ম.নৌশাদ খান।বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ইনভেনশন শিক্ষা পরিবারের মহাপরিচালক ফারহাজ উদ্দিন মহসিন,পরিচালক জুলহাস উদ্দিন সরকার।আরো উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহফুজ আরা পলক,সিনিয়র প্রভাষক চন্দন কুমার পণ্ডিত, রাশিদা খানম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন, লিটল ফ্রেন্ডস কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক সাজেদা খানমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।ইনভেনশন শিক্ষা পরিবারের মহাপরিচালক ফারহাজ উদ্দিন মহসিন জানান,আমরা শীতের শেষে হলেও পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি।ইনশাল্লাহ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছরই এ আয়োজন করে যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category